বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন
অনুসন্ধান ২৪ >>নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ের এক মাস না যেতেই শবনম পারভীন নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির তালাবদ্ধ ঘরে তার লাশ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকেই নিহত গৃহবধূর স্বামী পলাতক।নিহত শবনম পারভীন সৈয়দপুর পৌর শহরের ফুচকা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। শবনমের এক বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সৈয়দপুর শহরের নয়াবাজার এলাকায় বাড়ির তালা ভেঙে শবনমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শবনম পারভীনের স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন সৈয়দপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সীপাড়ার মমতাজ হোসেনের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। প্রথম স্ত্রী থাকাবস্থায় এক মাস আগে নিহত শবনমকে বিয়ে করেন। কিন্তু এতদিন শবনম তার মায়ের বাড়িতেই ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার নয়াবাজার এলাকায় আব্দুল মজিদ খানের বাসার একটা রুম ভাড়া নিয়ে সেখানে শবনমকে এনে রাখেন জাহাঙ্গীর। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই ঘরে তালা ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। সন্ধ্যার দিকে শবনমের বোন রক্সি পারভিন খোঁজ করতে এসে ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পান খাটের ওপর লেপ-কাঁথা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় শবনমের নিথর দেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।
শবনমের মা ফারজানা বলেন, জাহাঙ্গীর ও তার প্রথম স্ত্রী পরিকল্পনা করে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি এখন মেয়ের অবুঝ মেয়েটিকে নিয়ে কিভাবে বাঁচবো। আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
শবনমের বোন রক্সি পারভীন জানান, দেড় মাস আগে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে শবনমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই মনোমালিন্য চলছিল তাদের। বোনকে নিয়ে সে কোথায় ভাড়া থাকে সেটাও আমরা জানতাম না। এরই মাঝে আজকে ফোনে দুলাভাইয়ের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, তোর বোনকে মেরে ফেলে দিয়েছি, এসে লাশ নিয়ে যা। পরে কোথায় ভাড়া থাকে তা খবর নিয়ে নয়াবাজার এলাকায় আসি। সেখানে জানলাম, কালকেই তারা এখানে একটি বাড়িতে ভাড়ায় উঠেছে। বাড়িটি বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল। জানালা থেকে দেখি বোনের নিথর দেহ খাটে পড়ে আছে।
সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। মামলা হলে আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।