সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সদর উপজেলার ১০নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ভেদুরিয়া এলাকায় এক সমিল ব্যবসায়ী উপর হামলা চালিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার (২৯ এপ্রিল) ওই সমিলের জাগার মালিক বাদি হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে সমিলের মালিক মজিবর মাল উল্লেখ করেছেন, তিনি উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ভেদুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
গত ১০ থেকে ১২ বছর পূর্ব থেকে ভেদুরিয়া সাধুর বাজারের পাশে সমিলে গাছের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি বলেন, আমার ব্যবসা পরিচালনাধীন লোক না থাকায় ওই সমিল ভাড়া দেয়া হবে বলে নৌটিশ দেয়ই। ওই ভাড়ার নৌটিশ দেখে পাশের সমিলের মালিক আবদুল মান্নান খান ভাড়া নেয়ার বিষয় আমার সাথে তার তিন বছরের চুক্তি হয়। তিনি আরো বলেন, ওই চুক্তিতে লেখা আছে মালিক যদি নিজে আবার ব্যবসা করে তা হলে ভাড়াটিয়া মালিক ওই সমিল ছাড়তে বাদ্য থাকবেন। আর যদি না চালায় আলোচনা সাপেক্ষে বর্তমান ভাড়াটিয়া ওই সমিল চালাতে পারবেন।
আরো বলেন, ওই সমিলে পাশ্ববর্তী চন্দ্রমোহন গ্রামের তিন নং ওয়ার্ডের ইউসুফ রাজাকারের ছেলে ওই ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য চুন্নু দফাদার গাছের ব্যবসা করেন। তার সাথে ভাড়াটিয়া সমিলের মালিকে সাথে গাছ নিয়ে কথার কাটাকাটি হয় বলে আমাকে ওই ইউপি সদস্য জানায়। সে আরো বলেন, আমার কাছে ওই সমিল ভাড়া দিতে হবে না হয় সমিল বন্ধ করে দিবো। তার কথায় আমি রাজি না হলে আমার বড় ধরনের বিপদ হবে বলে আমাকে ভয় দেখাতে থাকে।
এক পর্যায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার সমিল দখল করে নেওয়ার পায়তারা চালাতে থাকে। পরে বুধবার আবারো তাদের বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে তুলে সমিলে এসে ভাড়াটিয়াকে নামিয়ে দিতে বলে আমি রাজি না হলে সমিল ভাংচুর করে নগদ টাকা ও অফিস রুমের মালামাল লুটপাট করে বাধা দেওয়ায় ভাড়াটিয়াকেসহ আমাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তবে অভিযোগের বিষয় ইউপি সদস্য প্রতিনিধিকে বলন, আমি কেনোও ভাড়াটিয়া সমিল মালিকের সাথে হামলা করবো। আমার কাছে জাগা ও সমিল মালিক ওই সমিল ভাড়া দিয়েছেন তার স্বাক্ষী তার আপন চাচাতো ভাইরা আছে তারা আমার কাছ থেকে বিশ হাজার টাকাও নিয়েছে।
তাড়াই আমাকে সমিল বুঝ দিবে, ভাড়াটিয়ার সাথে আমার কোন ধন্দ নেই। কেউ যদি বলে তাহলে আমাকে পাশানোর জন্য মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।