সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
আনোয়ার হোসেন :: বরিশাল সদর উপজেলা শাখা কমিটির সাধারন সম্পাদক সুজনের বেকারত্ব জীবনে বৈধ কোনো আয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া যায় না তার। অথচ তার ভাড়া বাসায় সাজগোজের মূল্যই প্রায় ৪ লাখ টাকা। ভাড়াবাড়ি প্রতিটি আসবাবপত্র অনেক মূল্যের। তবে অনুসন্ধান কালে দেখা যায়, তার বাসা ও অফিস একটি ফ্লাটে যেখানে রয়েছে অনেক দামীয় অসবাপত্র এবং রং বেরংঙ্গের দেখার মতো অনেক কিছু।
গত বুধবার (২৯ এপ্রিল) ওই বির্তকিত ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আশিকুর রহমান (সুজন)কে দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে বহিস্কার করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। তার বহিষ্কারের কথা শুনে পূর্ব অঞ্চলের লোকদের মুখে হাসি ফুটেছে বলে আওয়ামীলীগের এক প্রবীণ নেতা প্রতিবেদকে বলেন, দল যদি অপরাধীদের বিচার দ্রুত করে তা হলে বির্তকিত ছাত্রলীগের সুজনের মতো কেউ দলের নাম ঙাঙ্গীয়ে রাতারাতি লাখপতি হতে পারবেনা এমনকি অন্যায় করতে সাহস পাবে না।
তিনি বলেন, ধন্যবাদ জানাই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকে। সে আরো বলেন, সাময়িক না স্থায়ীভাবে বহিষ্কার দেখতে চাই আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনগুলো। টুঙ্গীবাড়িয়ার আওয়ামীলীগের অন্য এক নেতা বলেন, সুজনের পরিচয় না যেনে কেনোও আওয়ামীলীগের মতো একটি দল ওকে সদর উপজেলার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়। তিনি বলেন, টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়নের আবদুর রহমানের ছেলে সুজন। তার বাবা অল্প বয়সে মারা যান, এবং তার মা এখনও গার্মেস কর্মী হিসাবে কাজ করেন। সে আরো বলেন, সুজন চর কাউয়া খেয়া ঘাটে একটি দোকানে কাজ করতো। সে কি করে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হয়। এবং সে দলের নাম ভাঙ্গীয়ে ত্রাস চাদাবাজি ও সন্ত্রাসী জমি দখলসহ হাজার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এমনকি তার ত্রাসে পূর্ব অঞ্চলের লোকেরা জিম্মি হয়ে পরেছেন। তার বহিষ্কারের কথা শুনে সবাই যেনোও সস্তি বোধ করছে। এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। তবে আওয়ামীলীগ নেতাদের দাবী বহিষ্কারিত সুজনের অর্জিত আয়ের উৎস কোথায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা আহ্বান জানান তারা। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং এই অর্থ তিনি কোথায় খরচ করেছেন তা দেখা অনুরোধ জানান। মহাসিন আলম বলেন, বৈধ আয় না থাকলেও সুজনের রাজকীয় ভাড়াবাড়িতে ফার্নিচার রয়েছে যার বাজারমূল্য প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা। বাড়ির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সব জিনিস দেখে মনে হয় বড় কোন অফিসারের বাসা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে (২০ জানুয়ারি) সদর উপজেলার সাধারন সম্পাদকের পদ পায় সুজন। দৃশ্যমান কোনো ব্যবসাই ছিল না মো: আশিকুর রহমান (সুজনের) বর্তমানেও ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দলীয় সম্মানীর বাইরে তার কোনো আয়ের উৎস নেই। তবুও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন স্বঘোষিত ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুজন।