সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
অনুসন্ধান ২৪ ..ভোলা জেলার এলজিইডি হিসাব রক্ষক মিজানুর রহমানে সেচ্ছাচারিতা দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য অতিষ্ঠ সাধারণ ঠিকাদাররা। ঘুষের টাকা অগ্রীম না পেলে বিলের ফাইল টেবিলে উঠায় না এই ঘুষখোর হিসাব রক্ষক। আবার অগ্রীম টাকা দিয়েও বিলের জন্য মাসের পড় মাস ঘুরত হয় হিসাব রক্ষকের পিছে পিছে। তার ঘুষবাণিজ্যর ভিডিতে শোনা জায়, অডিট অফিসার তার কাছের লোক, তাদের ঘুষ দিতে হবে। চাহিদা মতো ঘুষ দিতে না পারায়’ তিনি ঘুষ দেওয়া ব্যক্তিকে বলেন, স্যারের কাছে জান।
ঠিকাদারী কাজ ক্রয় করা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, মহিব ট্রেডাস নামের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে বরিশাল সদর উপজেলা আওতাধীন খাল খননের কাজ পায়, কাজটি মোঃ আনোয়ার হোসেনের এলাকায় হওয়ায় ,ঠিকাদারের কাছ থেকে খালটি ক্রয় করেন মোঃ আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, প্রথমে আমি ৬০% কাজ সমাপ্তি করে বিলের জন্য বরিশাল এলজিইড অফিসে গেলে, হিসাব রক্ষক মিজানুর রহমান কাজের ২% টাকা ঘুষ দাবী করেন, কিসের টাকা জানতে চাইলে অডিট ও অফিস খরচ দিতে হয় বলে জানান তিনি।
জানতে চাওয়া হয়, এলজিইডিতে যতো টাকার কাজ টেন্ডার হয় সবাইকে কি ২% টাকা দিতে হয়,এক কথায় হিসাব রক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, যতো কোটি টাকার কাজ হবে সবাই ২% টাকা দিয়ে আসছে। বর্তমানে ঘুষখোর হিসাব রক্ষক মিজানুর রহমান ভোলা জেলায় কর্মরত আছে।
অন্য অন্য ঠিকাদারদের কাছে ঘুষের বিষয় জানতে চাইলে, তারাও বলেন এলজিইডি কর্মকর্তাদের ৫% টাকা ঘুষ দিতে হয়। এতে করে সাধারণ ঠিকাদাররা হয়রানির শিকার হন এবং সরকারের উন্নয়ন কাজেও ব্যাঘাত ঘটে বলে ঠিকাদারদের অভিযোগ।
তারা আরও বলেন, অফিসের ঘুষবাণিজ্য বন্ধ হলে ঠিকাদারেরা ভালো মানের কাজ করতে পারত এবং রাস্তাও কিটসই হইতো। কিন্তু এলজিইডির উন্নয়ন লোক দেখানো উন্নয়ন এবং ঘুষ বাণিজ্য করার একটা কৌশল মাত্র। তাদের উন্নয়ন এক বছরের মাথায় ধ্বংশ হয়ে জায়, দোষ হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। ঠিকাদার কাজ পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তাদের ঘুষ বাণিজ্যের পায়তারা। সাধারণ ঠিকাদাররা কাজ শেষে তাদের বিলের ফাইল, জামানতের ফাইল এবং সিকিউরিটির ফাইল নিয়ে বিলের জন্য গেলে, সে ঘুসের অগ্রীম টাকা না পেলে বিলের ফাইল হাতে নেয়নি।
এমন কি টাকা নিয়েও সাধারণ ঠিকাদারদের ঘুরাতে থাকেন মাসের পর মাস। কারণ ফাইলে সহকারী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলী সই করার পর সে ফাইলটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাক্ষর করার পর ট্রেজারীতে গেলে ঠিকাদাররা বিলের চেক পান। কিন্তু হিসাব রক্ষকের সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকায় তার কাছে ফাইল গেলে তিনি বিল করতে বিলম্ব করেন। আর এতে করে ঘুষের টাকা অগ্রীম দিয়েও ঠিকাদাররা সময় মত তাদের বিলের টাকা পান না। এভাবে চলতে থাকলে এলজিইডি উন্নয়ন কাজে বাধার সৃষ্টি হবে।
অডিটের কথা বলে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে বর্তমানে ভোলা জেলা এলজিইডি অফিসের হিসাব রক্ষক মিজানুর রহমানের সাথে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন, এরপরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঘুষবাণিজ্যর বিষয়টি নিয়ে ভোলা জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ ইব্রাহীম খলীল এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এর আগেও কেউ আমার কাছে অভিযোগ দেয়নি। আমি আপনার কাছেই প্রথম শুনেছি তবে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।