সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
অনুসন্ধান ২৪ >> এই সিদ্ধান্তের পথে আসা সহজ ছিল না। মতপার্থক্য, বিতর্ক ও নানা সমালোচনার মাঝেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়িত্বশীলভাবে একটি ন্যায্য ও টেকসই সমাধানের দিকে কাজ করেছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, উপদেষ্টা পরিষদ ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সমন্বয় করে আজকের এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে জানা গেছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে প্রথম ধাপে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২,০০০ টাকা) হারে বাড়িভাড়া ভাতা কার্যকর হবে। দ্বিতীয় ধাপে, ২০২৬ সালের জুলাই থেকে আরও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ হয়ে মোট ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হবে।
অবশেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এই সুবিধা তারা দুই ধাপে পাবেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি. আর. আবরার বলেন, “শতাংশ হারে ভাতা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করতে পেরে আমি একজন শিক্ষক হিসেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। শিক্ষকরা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাতা—তাদের মর্যাদা ও জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধ থাকা জরুরি।”
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি কোনো একক সাফল্য নয়, বরং শিক্ষক সমাজ ও সরকারের পারস্পরিক সহযোগিতার ফল।
তিনি আরও বলেন, “এই সিদ্ধান্তের পথে আসা সহজ ছিল না। মতপার্থক্য, বিতর্ক ও নানা সমালোচনার মাঝেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়িত্বশীলভাবে একটি ন্যায্য ও টেকসই সমাধানের দিকে কাজ করেছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, উপদেষ্টা পরিষদ ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সমন্বয় করে আজকের এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।”
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “শিক্ষকদের আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে, সরকার সাড়া দিয়েছে, আর আমরা সবাই মিলে এমন এক সমঝোতায় পৌঁছেছি যেখানে সংলাপ ও শ্রদ্ধাই জয়ী হয়েছে। এখন সময় ক্লাসরুমে ফেরার, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার।”
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, “পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও গুণগত শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে এক মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারব। আজকের এই সিদ্ধান্ত হোক নতুন সূচনা—শিক্ষা, সম্মান ও সহযোগিতার পথে।