রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে ৬০০কেজি জব্দ জাটকা গেল এতিমখানায় স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা ঘটনায় ঘাতক স্বামী আটক ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নতুন তথ্য বিডব্লিউওটির ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, ভর্তি ৫৯৩ শুটিংয়ের কথা বলে মডেলকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পরিচালক গ্রেপ্তার সালমানের বাড়িতে হামলায় ঘটনায় অভিযুক্ত আনমোল বিষ্ণোই গ্রেপ্তার ভূমিকম্পে নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহতদের ১৫ হাজার টাকা দেবে সরকার বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, একই পরিবারের চারজন নিহত ফের হামলার শঙ্কায় সদরপুরের ৫ শতাধিক হিন্দু পরিবার সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম চাকরি পেতে জালিয়াতি, ছেলের ৩ বছরের বড় গ্রামপুলিশ বাবা! জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন এরা নারীবাদী কথার অর্থই জানে না’ কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
ভারত আবারও পানি ছাড়লো বাংলাদেশে

ভারত আবারও পানি ছাড়লো বাংলাদেশে

ভারত আবারও পানি ছাড়লো বাংলাদেশে
ভারত আবারও পানি ছাড়লো বাংলাদেশে

অনুসন্ধান ২৪ >> গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে বেড়েছে তিস্তার পানি। এরই মাঝে শনিবার দুই দফায় গজলডোবা বাঁধ দিয়ে প্রায় ১১ হাজার কিউমেক পানি ছেড়েছে ভারত। বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, এই বিপুল পরিমাণ পানি ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে আগে থেকে তাদের কিছু জানা ছিল না। খবর বিবিসি বাংলার।

গজলডোবা বাঁধ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভারতীয় সময় রাত ৮টায় প্রায় ছয় হাজার ও তারপরে রাত সাড়ে ১২টায় আরো ৪ হাজার ৭০০ কিউমেকের বেশি পানি ছাড়া হয়েছে। বাঁধের কিছু কবাট বছরের একটা বড় সময়ই খোলা থাকে। যখন কোনো কারণে পানির পরিমাণ বাঁধের ধারণক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যায়, তখন সেই বাড়তি পানি ছেড়ে দেয়ার জন্য বাঁধের আরো গেট খুলে দেয়া হয়।

বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, ‘ভারত যে বাড়তি পানি ছেড়েছে, সে ব্যাপারে বাংলাদেশের কাছে অফিশিয়াল কোনো খবর নেই।’

গজলডোবা বাঁধ দিয়ে হঠাৎ করে এত বিপুল পরিমাণ পানি ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সেচ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মতো ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলায়ও তিন দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর ভারতের অংশের বেশ কয়েকটি জায়গায় পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং বাঁধের পানি ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ওই পানি বের করার জন্য এক পর্যায়ে আরো গেট খুলতে হয়েছে।

শুক্রবার কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত নদীর দুই তীরেই লাল সতর্কতা জারি হয়েছিল।
শনিবার মাঝরাতে মেখলিগঞ্জের উজান অঞ্চলেও লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া

সরদার উদয় রায়হান বলেন, মে থেকে শুরু করে জানুয়ারি পর্যন্ত এই সময়ে বাঁধ সাধারণত খোলাই থাকে। মূলত বর্ষাকালে বাঁধ বন্ধ রাখা হয় না। বাংলাদেশের যে বাঁধ, সেটিও এই সময়ে খোলাই থাকে। এখন যেহেতু বর্ষাকাল, তাই সেচেরও দরকার নাই।
বাঁধ দেয়ার মূল কারণ তো সেচ। তাছাড়া এ সময় পানির পূর্ণ প্রবাহ থাকে। তাই ব্যারেজের ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে সবসময়ই খোলা রাখা হয়।

তার মতে, বাংলাদেশ যে ২ হাজার ২৬৭ কিউমেক পানি প্রবাহের কথা জানে, তা এই মৌসুমের স্বাভাবিক প্রবাহ। কিন্তু যদি সত্যিই ওই প্রায় ১১ হাজার কিউমেক হয় তাহলে এতক্ষণে অনেক বড় বন্যা হয়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশে।

বাঁধের গেট যেহেতু বর্ষাকালে খোলাই থাকে, তাই আলাদা করে এ ব্যাপারে সতর্কতা জারি করা হয় না। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে ড্যাম বা বাঁধ দেয়া হয়, তা থেকে পানি ছাড়ার আগে জানাতে হয়। কারণ ড্যামের বিষয়টা ভিন্ন। ড্যামে পানির ধারণক্ষমতা বেশি। এখানে পানি জমিয়ে রাখে, পরে রিলিজ করে। ব্যারেজের ধারণক্ষমতা ড্যামের চেয়ে অনেক কম।

রংপুর প্রতিনিধি জানান, উজানে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্য পর্যন্ত তিস্তায় পানি বেড়েছে ১৫ সেন্টিমিটার। এতে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানের ঢল সামলাতে লালমনিরহাটের ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
আরো পড়ুন

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © অনুসন্ধান24 -২০১৯