রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
অনুসন্ধান২৪>> দেশে এখন গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। তীব্র গরমে মানুষ ত্রাহি অবস্থায় আছেন। মৌসুমের বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় সর্বত্রে ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে। এতে করে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও খুব ঘামতে দেখা যাচ্ছে।
আর একান্তই যাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে তারা বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। রাজধানীতেও গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুই ছুই করছে। দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁয়েছে।
রোদের তীব্রতা বেশি হওয়ায় খুব অল্পতেই মানুষ হয়রান হয়ে যাচ্ছে। ফলে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। তাদের আয়-রোজগার বন্ধের উপক্রম। কাজের জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এখন আলোচনার শীর্ষে রয়েছে তাপপ্রবাহের চিত্র। ভ্যাপসা এই গরমে বিপর্যস্ত জনজীবনের নানা ছবি/ভিডিও ভাসছে ফেসবুকে। রেকর্ড তাপদাহ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অনেকেই। আবহাওয়ার এই বিরূপ আচরণের পেছনে নানা কারণও তুলে ধরছেন নেটিজেনরা।
কেউ নদ-নদীগুলোতে ভারতীয় বাধের প্রভাব এবং সড়কের দু’পাশের গাছপালা উজাড় করাকে দায়ী করছেন। কেউবা রসিকতা করে দেশের সব জায়গায় হিট অফিসার নিয়োগ না দেয়াকে দুষছেন।
উদ্বেগ জানিয়ে শামীম আহমেদ লিখেছেন, যেভাবে এই দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্টের ও পল্লী বিদ্যুতের লাইন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গাছ কাটার উৎসব চলছে তাতে মরুভূমি হতে বেশী দিন লাগবে না।
ফেসবুকে ইব্রাহীম আইকে লিখেছেন, নববর্ষ উপলক্ষে ১৪ কিলোমিটার রাস্তা আলপনা করা হয়েছে। বিশ্ব রেকর্ড করার জন্য কেন গাছ লাগিয়ে অথবা পরিবেশবান্ধব কোনো কাজ করে বিশ্ব রেকর্ড করা যেত না।
মস্তোফা লিখেছেন, আমরা হয়তো ভূলেগেছি, কোন একটি দেশ আমাদের দেশের নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ এই শুস্ক মৌসুমে নিয়ন্ত্রণ/বন্ধ করে দিয়ে আমাদের পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় প্রচুর সহায়তা করছে।
গাছপালা উজাড়ের সমালোচনা করে মোহাম্মাদ রাব্বি মিয়া লিখেছেন, উন্নয়নের নাম করে রাস্তার দুপাশের গাছ আরও কাটেন। বাংলাদেশের গরম এখন মিডলইস্টকেও ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বাংলাদেশের তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াস আর কাতারের ৩২° সেলসিয়াস। এভাবে চলতে থাকলে আমরা তাপমাত্রায় শনি গ্রহকেও ছাড়িয়ে যাব।
মোঃ ইউসুফ আলী লিখেছেন, এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় দেশে গাছপালা একেবারেই কম, তারপর আবার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের দুই পাশে থাকা পুরনো গাছগুলো সব বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, এতে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোঃ নাহিদ পারভেজের পরামর্শ, হে কতৃপক্ষ গাছ রোপণ করে বিশ্ব রেকর্ড করা যায় কি না চিন্তা করুন। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে ইউক্যালিপটাস গাছের জায়গায় কাঁঠাল, জাম, নিম বা এ ধরণের গাছ রোপণের পরামর্শ দিন।কিন্তু ইউক্যালিপটাসের রোপণ নিষিদ্ধ করার পরেও গাছটির বিস্তার সেখানে বাড়ছে।কৃষি অফিস থেকে নার্সারির গুলোকে নজরদারি করুক যাতে ইউক্যালিপটাস চারা উপাদান করতে না পারে….।