শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
ফের হামলার শঙ্কায় সদরপুরের ৫ শতাধিক হিন্দু পরিবার সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম চাকরি পেতে জালিয়াতি, ছেলের ৩ বছরের বড় গ্রামপুলিশ বাবা! জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন এরা নারীবাদী কথার অর্থই জানে না’ কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত: জাতিসংঘ আমরা বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে আছি উৎপত্তিস্থল মাধবদীতে এপাশ-ওপাশ দুলছিল উঁচু ভবনগুলো, মাটিতে ফাটল কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১ শেষ বিদায়ে বাবা-মাকে কাছে পেল না ভূমিকম্পে নিহত শিশু ফাতিমা গাংনীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

অনুসন্ধান২৪>>চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে গলার কাঁটা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

বুধবার এক বিবৃতিতে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের সব বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।

নেতারা বলেন, অস্বাভাবিক দ্রুততায় বিদেশি কোম্পানির নিকট কনটেইনার টার্মিনাল তুলে দেওয়া দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে ও এটি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। বাংলাদেশের বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।

তারা বলেন, বিদেশিদের হাতে টার্মিনাল পোর্ট ও বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন যুক্ত আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের নীতির নির্ধারণী বিষয়ে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না। বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশকে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডই অতীতকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।

নেতারা আরো বলেন, দেশের জনগণ, জনমত ও জনআকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যেকোনো কার্যক্রম জনরোষের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর করবে। গভীর পরিতাপের বিষয় যে, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশবিরোধী চুক্তি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।

নেতারা অনতিবিলম্বে এই সরকারকে দেশবিরোধী চুক্তি তথা বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত থেকে বিরত থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান। অন্যথায় ১২ দলীয় জোট দেশের আপামর জনগণকে সঙ্গে দেশ বিক্রি চুক্তির বিরুদ্ধে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

আরো পড়ুন

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © অনুসন্ধান24 -২০১৯