শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন
অনুসন্ধান২৪>>শীতের শুরুতেই বাজারে মিলতে শুরু করেছে শীতকালীন অনেক সবজি। এসব সবজির কারণে বাজারে ফিরছে স্বস্তি। যেসব সবজির দাম কিছু দিন আগেও ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। সেসব সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে গেছে। বিশেষ করে শীতকালীন সবজি শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম কমার কারণে অন্যান্য সবজির দামও কমছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী, ঢেকুরিয়া পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কমেছে, তেমনি বাজারে অন্যান্য সবজির চাহিদাও কিছুটা কমে এসেছে, যার প্রভাব পড়েছে দামেও। ৩ সপ্তাহ আগে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে ছোট আকারের প্রতি পিস ফুলকপি গত সপ্তাহে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন কেনা যাচ্ছে ৫০ টাকার মধ্যে। ৭০ থেকে ৮০ টাকার ঢেঁড়স ও পটলের দাম কমে নেমেছে ৪০ থেকে ৩০ টাকায়।
অন্যান্য সবজির মধ্যে ৩০ টাকা কমে করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০, মুলা ২০ থেকে ৩০, কাঁচা পেঁপে ২৫, বেগুন ৩০ থেকে ৫০, টমেটো ৫০ থেকে ৭০ এবং প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে, কাঁচকলা ৩০ টাকা কেজি ও লাউ ৩০। গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। তা গতকাল কমে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। মেঘাইহাট বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, শীতকালীন কিছু সবজির সরবরাহ বেশ বেড়েছে। এ জন্য বাজার কমতির দিকে রয়েছে। পাইকারি বাজারেও দর কমতির দিকে। এ কারণে আমরাও কম দামে বিক্রি করছি।
কমেছে মুরগির দাম। বাজারে সব ধরনের সবজির দর কমার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুরগি ও ডিমের বাজারেও। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগিও ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয় ১৪০ টাকা দরে। ডজনে ১০ টাকা কমে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকায়। মুরগি ও ডিমের দাম কমলেও স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।
সোনামুখী বাজারের ক্রেতা ভ্যানচালক ইকরামুল হক বলেন, শীত আসছে, তাই সবজির দাম কমতির দিকে। আশা করি, সামনে আরো কমবে। শীতের সময় আমরা ইচ্ছামতো সবজি খেতে পারি। তবে বাজার সঠিকভাবে তদারকি করলে সবজির দাম আরো কমানো সম্ভব। প্রশাসনের তদারকি না থাকায় কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেক সময় নিজেদের ইচ্ছামতো দাম হাঁকাই। আমরা নিম্নআয়ের মানুষ তারপরও বাধ্য হয়ে কিনতে হয়।