সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
অনুসন্ধান২৪>> দের বড় জামাতে অংশ নিতে শুধু নগরের মানুষই নয়, গ্রামাঞ্চলের মানুষও এসে এতে শরিক হচ্ছেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ঈদ জামাতে লাখো মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন।
এদিকে- ঈদগাহের বৃহৎ জামাতে বরাবরের মতো মন্ত্রী, এমপিরাও শরিক হয়ে নামাজ আদায় করেন। উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-১ আসনের এমপি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন। এছাড়া সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ জামাতে নামাজ আদায় করেন।
ভোর হতেই নগর সহ আশপাশের মানুষ ঈদগাহমুখী হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ৭ টার মধ্যে ঈদগাহ চত্বর কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। এরপর বামপাশে কুমারপাড়া পয়েন্ট, পেছনে টিবি গেইট পর্যন্ত মুসল্লির কাতার ছড়িয়ে পড়ে। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে আগ্রহভরে এ জামাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।
নামাজের পূর্বে মুসল্লিদের কাছে দোয়া কামনা করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ এবার শান্তিপূর্ণভাবে রমজান ও ঈদ পালন করেছে। এ সময় তিনি বলেন- বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশীদের জন্য বাজার খুলছে।
সিলেট-১ আসনের এমপি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন- বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ অস্বস্তি ও অশান্তির মধ্যে ঈদ পালন করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে শান্তিপূর্ণ ভাবে ঈদ উদযাপন করছেন। সরকার দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আন্তরিক রয়েছে বলে জানান তিনি। মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার বক্তৃতায় গ্রীন এন্ড ক্লিন সিটি গঠনে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন; এই নগরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে তিনি সুন্দর একটি সিটি উপহার দিতে পারবেন। এদিকে- ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এ সময় ফিলিস্তিনে নির্যাতিত জনগনের পক্ষে মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা হয়েছে।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে আসতে শুরু করেন। ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন ক্বারী মো. ইসহাক মুয়াজ্জিন।
প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।