সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
অনুসন্ধান২৪>> পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে পদোন্নতি পেয়েছেন পুলিশের ২০ কর্মকর্তা। তারা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হচ্ছেন- সহকারী পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, এটিএম আমিনুল ইসলাম, আবু ছালেহ মো. আনছার উদ্দীন, গোলাম রহমান, সাইকুল আহম্মেদ ভুইয়া, আশরাফ হোসেন, রেজাউল হাসান, আব্দুল করিম, ছয়রুদ্দীন আহম্মেদ, মনজুরুল আলম, জানে আলম খান, মোস্তাফিজুর রহমান, রেজাউল হক, আজিজুল হক, ফিরোজ আহমেদ, মাহবুব উর রশীদ, হুমায়ূন কবীর, সৈয়দ রুহুল ইসলাম।
সোমবার (৮ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যোগদান পত্র পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পদোন্নতির আদেশ যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫–এর ৬ষ্ঠ গ্রেড অনুযায়ী তাদের বেতন হবে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৬৭ হাজার ১০ টাকা।
ঈদযাত্রায় এবার ট্রেনেই সন্তান জন্ম দিলেন এক প্রসূতি। রাজশাহীগামী আন্তনগর ‘কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে সোমবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি ওই সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে অতিক্রম করছিল। পরে মা ও নবজাতককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছায়। এ সময় ওই প্রসূতি তার পরিবারসহ ‘ঙ’ নম্বর বগিতে ওঠেন। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে এলে ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাৎক্ষণিক ট্রেনে কোনো চিকিৎসক আছেন কি-না জানতে চেয়ে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়।
প্রসূতি স্বর্ণা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী।
ঘোষণা শুনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন আক্তার দ্রুত ‘ঙ’ নম্বর বগিতে এসে নিজের পরিচয় দেন। পরে তার সহযোগিতায় ১১টা ৪০ মিনিটে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি।
এ বিষয়ে ডা. নাজনীন আক্তার জানান, তিনি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। মাইকিং শুনে ‘ঙ’ বগিতে ছুটে যান। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। প্রসবের সময় কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন।